ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে, "Prevention is better than cure" অর্থাৎ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। তাই রোগের চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা না করে রোগ যাতে খামারে প্রবেশ করতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। জীবদেহ রোগ-ব্যধি তৈরির কারখানা এবং জীব মাত্রই রোগাক্রান্ত হয়। অন্যান্য প্রাণীদের মত হাঁসেরও রোগ হয়। একজন হাঁস খামারির কাছে রোগ একটা বিরাট সমস্যা। তবে সতর্ক দৃষ্টি ও ভালো ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মৃত্যুর হার কমানো যায়। কঠিন রোগের পর হাঁস ভালো হয়ে গেলেও আগের মত স্বাভাবিক স্বাস্থ্য এবং উৎপাদন কোনো দিনই ফিরে আসে না।
এই অধ্যায় শেষে আমরা-
একটি সুস্থ হাঁসের বৈশিষ্ট -
একটি অসুস্থ হাঁসের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ-
হাঁসকে রোগমুক্ত রাখার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে-
রোগের সংজ্ঞা, পর্যাপ্ত খাদ্য ও উপযুক্ত পরিবেশ দেয়ার পরও যদি শরীরে অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয় তবে তাকে রোগ বলে।
হাঁসের রোগ প্রধানত ২ (দুই) ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
১. সংক্রামক রোগ
২. অসংক্রামক রোগ
১. সংক্রামক রোগ
যে রোগ জীবাণু বা জীবিত বস্তধারা সংঘটিত হয় তাকে সংক্রামক রোগ বলে। যেমন : হাঁসের কলেরা, ডাকপ্লেগ ইত্যাদি।
সংক্রামক রোগ দুই প্রকারের। যথা: ছোঁয়াছে ও অছোঁয়াছে রোগ ।
যে রোগ আক্রান্ত হাঁসের সংস্পর্শে আসলেই সুস্থ হাঁসটি অসুস্থ হাঁসটির রোগে আক্রান্ত হয় তাকে ছোঁয়াছে রোগ বলে।
যে রোগ আক্রান্ত হাঁসের সংস্পর্শে আসলেও সুস্থ হাঁসটি অসুস্থ হাঁসটির রোগে আক্রান্ত হয় না তাকে অছোঁয়াছে রোগ বলে।
২. অসংক্রামক রোগ:
জীবাণু ছাড়া যে রোগ সংগঠিত হয় তাকে অসংক্রামক রোগ বলে । অসংক্রামক রোগ তিন প্রকার। যথা :
১. আঘাতজনিত রোগ
২. অপুষ্টিজনিত রোগ
৩. বিষক্রিয়াজনিত রোগ ।
অন্যভাবে হাঁসের রোগকে সাধরণত ৫ ভাগে ভাগ করা যায়, যথা :
১. ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ : যেমন- হাঁসের কলেরা।
২. ভাইরাসজনিত রোগ : যেমন-ডাক প্লেগ ও হেপাটাইটিস ।
৩. ছত্রাকজনিত রোগ : যেমন- এসপারজিলোসিস।
৪. অপুষ্টিজনিত রোগ : যেমন- প্যারালাইসিস, রিকেট, রাতকানা ইত্যাদি ।
৫. পরজীবজনিত রোগ : যেমন- কৃমি, আঠাঁলি ইত্যাদি।
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
আমাদের দেশে হাঁসের সচরাচার যেসমস্ত রোগ হয়ে থাকে সেগুলোর নাম, লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
সাধারণ রোগসমূহের নাম :
১. কলিবেসিলোসিস
২. ডাক কলেরা
৩. বটুলিজম রোগ
৪. ডাক ভাইরাস হেপাটাইটিস
৫. ডাক প্লেগ
৬. এসপারজিলোসিস
হাঁসের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণজনিত রোগ:
হাঁসের কলিবেসিলোসিস:
কলিবেসিলোসিস রোগ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের জন্য হয়ে থাকে। কতকগুলো রোগের সমষ্টিকে কলিবেসিলোসিস রোগ বলা হয়। যথা-
(ক) কলি ফরম সংক্রমণ
(খ) কলি সেপ্টিসেমিয়া
(গ) পুরনো শ্বাসকষ্ট রোগ
(ঘ) বায়ু থলে সংক্রামক রোগ
(ঙ) কুসুম থলে সংক্রামক রোগ
(চ) নাভি সংক্রামক রোগ
(ছ) প্যারিটুনিয়ামের প্রদাহ রোগ ।
এসকারিশিয়া কলাই (ই-কলাই) নামক এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া বা অণুজীবাণু এসব রোগ সৃষ্টি করে থাকে। এটি গ্রাম নেগেটিভ নন স্পোর সৃষ্টিকারী ছোট দন্ডাকৃতির ব্যাকটেরিয়া। এসকারিশিয়া কলাই নামক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার অনেক ধরনের স্ট্রেইন রয়েছে এবং প্রায় সব প্রাণীতে রোগ সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু হাঁসে রোগ সৃষ্টিকারী ই-কলাই মানুষসহ অন্য কোনো পশুতে রোগ সৃষ্টি করতে পারে না। ই-কলাই ব্যাকটেরিয়া/অণুজীবাণু সাধারণত সব প্রাণীর পরিপাক নালিতে এবং খামার পরিবেশে বিদ্যমান থাকে কিন্তু সব সময় রোগ সৃষ্টি করতে পারে না। মাত্র ১০ থেকে ১৫ ভাগ অণুজীবাণু এ রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ই-কলাই একটি সুযোগ সন্ধানী ব্যাকটেরিয়া। বিশেষ বিশেষ অবস্থায় বা অন্যান্য রোগের উপস্থিতিতে এটি মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে থাকে। যেমন-
অত্যধিক শীত বা গরমে এ রোগ অণুজীবাণু বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না। সাধারণ জীবাণুনাশক ওষুধ দিয়ে এ রোগের অনুজীবাণু মারা যায়। পরিবেশের আর্দ্রতা যখন কম থাকে এবং পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা স্বভাবিক থাকে তখন ধুলোবালি ও বিছানায় এ রোগ অণুজীবাণু অনেকদিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে। পরিবেশে বাতাসের আর্দ্রতা যদি বেড়ে যায় তখন ই-কলাই বেশিদিন বাঁচতে পারে না, ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ অণুজীব মারা যায় ।
মাংস উৎপাদনের জন্যে পালিত হাঁসের খামারে উন্নত ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করা সত্ত্বেও ২/৪টি হাঁস মারা যেতে পারে। কিন্তু অনুন্নত ব্যবস্থাপনা, যেমন- অল্প জায়গায় বেশি বাচ্চা রাখা হলে অথবা যদি খারাপ বিছানা ব্যবহার করা হয় তা হলে মড়ক মহামারি আকারে দেখা দিতে পারে সাধারণত ব্রহ্মপার হাঁসের বয়স যখন ৪-৬ সপ্তাহ হয়ে থাকে তখন এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়ে থাকে এবং জবেহ করার বয়স পর্যন্ত অনেক হাঁস মারা যেতে পারে।
রোগ বিস্তার:
হাঁসের বৃহদান্তে সাধারণত এ রোগ অনুজীব বসবাসের জন্যে উপযুক্ত স্থান। অস্ত্রের অন্য কোনো অংশ বসবাসের জন্যে তেমন উপযুক্ত নয়। তাই বৃহদান্ত্রে এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়ে থাকে।
এ রোগ অণুজীব দ্বারা কলুষিত খাদ্য ও পানি গ্রহণ করার পর অস্ত্রের উপরিভাগে এগুলো বংশবৃদ্ধি করে। কারণ এ অংশে কোনো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না । ফলে অন্ত্রের এ অংশে প্রদাহ দেখা দেয় যা পাতলা পায়খানার অন্যতম কারণ। কোনো কোনো সময় এ রোগ অণুজীবীর দ্বারা তৈরি টক্সিন অন্ত্র থেকে রক্তের মাধ্যমে যকৃত, প্লীহা ও বৃক্কে পৌছে এবং এগুলোর মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। বাচ্চা হাঁসের শ্বাসকষ্ট সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। কারণ শ্বসনতন্ত্রের উপরিভাগ অংশে সংক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। এ সংক্রমণ যদি বায়ু থলেতে পৌছে তা হলে শ্বাসনালী ও ফুসফুসে ক্ষতের সৃষ্টি করে।
রোগের লক্ষণ:
দেহের কোনো অংশ এ রোগ অণুজীব দ্বারা আক্রান্ত হয় এর উপরই কলিসেপ্টিসেমিয়া রোগের লক্ষণ নির্ভর করে।
ডিম্বাশয়ের প্রদাহ :
হাঁসের পেটে পিন্ডের ন্যায় দেখা যায়। ফলে এ রোগে আক্রান্ত হাঁসের পেট বড় দেখায়। কোনো কোনো হাঁস ই-কলাই নামক রোগ অণুজীবী দ্বারা ডিম্বাশয় ও ডিম্ববাহি নালি সংক্রমিত হওয়ার ফলে এগুলো সঠিকভাবে কার্যকর থাকে না, ফলে ডিম্বাশয় ও প্যারিটনিয়ামের প্রদাহের জন্যে আক্রান্ত হাঁসটি মারা যায়। এসব অংশ থেকে সংক্রমণ নিম্নগামী যোনি ও অবসারনিকে সংক্রমিত করে এবং সেখানে চুলকানির ফলে অবসারনিতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ডিম্বাশয় থেকে বিকৃত ডিম ডিম্ববাহি নালীতে জমা হতে থাকে এবং কুসুমগুলো জমে পুঁজের মত হলেও কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। এ জাতীয় হাঁসের ডিম তা দিলে ডিমের ভেতরে ভ্রুণের মৃত্যু হতে পারে অথবা বাচ্চা ফোটার পর পরই মারা যেতে পারে।
কুসুম থলে সংক্রমণ রোগ:
ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পর প্রথম ৩ থেকে ৪ দিন বয়সে কুসুম থলে সংক্রমণের জন্যে মারা যায়। এ অবস্থাকে ব্যাখ্যা করার জন্যে নাভীর সংক্রমণ অথবা ওফালাইটিস উপসর্গ নামে অবহিত করা হয়ে থাকে। একে অনেকে “মাসি চিক ডিজিজ” বলা হয়ে থাকে। হাঁসের ডিম তা দিলে ডিমের ভেতরে ভ্রুণের মৃত্যু হতে পারে অথবা বাচ্চা ফোটার পর পরই মারা যেতে পারে।
ওফালাইটিস
ওফালাইটিস বা নাড়ির প্রদাহ, কুসুম থলের সংক্রমণ, মাসি চিক ডিজিজ এসব রোগের কারণে হাঁসের বাচ্চা ৩-৪ দিন বয়সে মারা যেতে পারে। কুসুম থলের সংক্রমণ রোগ অণুজীবাণু দ্বারা হয়ে থাকে তবে এ জাতীয় সংক্রমণ থেকে বোঝা যায় যে,
ক) প্রজনন খামারটির ব্যবস্থাপনা ছিল নিম্নমানের এবং
খ) হ্যাচারির ব্যবস্থাপনা ত্রুটিপূর্ণ ছিল।
রোগের কারণ :
খামার পরিবেশে এবং হাঁসের অস্ত্রে অনেক ধরনের রোগ অণুজীবি অবস্থান করে সেগুলো ও কুসুম থলে সংক্রমণসহ এ রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ই-কলাই ছাড়া অন্যান্য যে সব রোগ অনুজীবাণু উপস্থিত থাকে যথা ব্যাসিলাস অরিয়াস, স্টেফাইলোকোকাই, সিউডোমোনাস, রুক্মিডিয়া এবং প্রোটিয়াস । ওফালাইটিস রোগের মহামারি ডিমের খোসার সংক্রমণ থেকে হয়ে থাকে। বিষ্ঠার মধ্যে বিদ্যমান এসব ব্যাকটেরিয়া ডিমের খোসার ছিল পথে ভেতরে প্রবেশ করে ডিমকে সংক্রমিত / কলুষিত করে থাকে।
হ্যাচারিতে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ না করলে অনেক রোগ অণুজীব তা বসানো ভিষকে সংক্রমিত করে, ফলে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটা বিলম্ব ঘটে এবং অধিকাংশ বাচ্চার নাভির ক্ষত শুকাতে দেরি হয়ে যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই এ ক্ষতের মাধ্যমে পরিবেশে বিদ্যমান রোগ অণুজীবাণু বাচ্চার পেটের মধ্যে অবস্থিত ডিমের কুসুমকে সংক্রমিত করে থাকে। সংক্রমিত নাড়িভূড়ি নাভির ক্ষতের মাধ্যমে অনেক সময় বের হয়ে আসে এবং নাভির ক্ষতকে মারাত্মকভাবে সংক্রমিত করতে পারে। কুসুম বলে সংক্রমণের ৩-১০% হাঁসের বাচ্চা জীবনের প্রথম করেক দিনের মধ্যেই মারা বার এবং মৃত্যুর হার বাড়তে পারে।
রোগ বিস্তার:
ডিমের কুসুম রোগ অণুজীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার ফলে কুসুমে পচন ধরে এর ফলে বাচ্চাটি ডিমের কুসুম থেকে যে পুষ্টি পাওয়ার কথা ছিল তা থেকে বঞ্চিত হয়। তথায় উপস্থিত কোনো কোনো রোগজীবাণু টক্সিন তৈরি করে। মারাত্মকভাবে আক্রান্ত অবস্থায় এ টক্সিনের জন্যে টক্সিমিয়া সৃষ্টি হয় (রক্তের সাথে টক্সিন মিশে যায়) এবং ই- কলাই সংক্রমণ সেখানে প্রাধান্য থাকে।
স্টেফাইলোকক্কাস ও সিউডোমোনাস-এর উপস্থিতিতে আক্রান্ত বাচ্চার গোড়ালির শিরায় প্রদাহের সৃষ্টি হয়। গিড়া ফুলে যায়, বাচ্চা খোড়াতে থাকে।
রোগের লক্ষণসমূহঃ
রোগের চিকিৎসা:
রোগের আক্রান্ত বাচ্চাকে ১ দিন বয়স থেকে চিকিৎসা করলে সুফল পাওয়া যায় তবে পেরিটুনাইটিস এবং হৃৎপিন্ডের প্রদাহ হয়ে গেলে চিকিৎসায় কোনো ফল পাওয়া যায় না। একদিন বয়স থেকেই আক্রান্ত বাচ্চার ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হবে এবং সাথে সুষম খাদ্য ও পানির সাথে খাওয়াতে হবে।
রোগ দমন:
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
ডাক কলেরা (Duck Cholera )
হাঁসের কলেরা একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমক রোগ। উচ্চ আক্রান্ত ও উচ্চ মৃত্যু হার এবং ডায়রিয়া এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট। সব বয়সের হাঁস এতে আক্রান্ত হতে পারে। হাঁসের ঘর স্বাস্থ্যসম্মত না হলে এবং ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি থাকলে এ রোগ মড়ক আকারে দেখা দেয়। সঠিকভাবে রোগ সনাক্ত করে চিকিৎসা করতে না পারলে মৃত্যু হার অনেক বেড়ে যায়। এছাড়া এ রোগ একবার দেখা দিলে দমন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
হাঁসের কলেরা রোগের কারণ:
পাশ্চুরেলা মান্টুসিডা নামক এক প্রকার গ্রাম নেগেটিভ ক্ষুদ্র দন্ডাকৃতির বাইপোলার ব্যাকটেরিয়া এ রোগের একমাত্র কারণ।
হাঁসের কলেরা রোগের সংক্রমণ:
হাঁসের কলেরা রোগ নিম্নলিখিতভাবে সংক্রমিত হয়-
* সংবেদনশীল হাঁসের ঘরে কোন বাহক হাঁস থাকলে বা প্রবেশ করলে।
* বন্য পাখি বা অন্যান্য বাহক প্রাণির সংস্পর্শে সংবেদনশীল হাঁস আসলে ।
* একই ঘরের বা খামারের এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নিম্নলিখিতভাবে এ রোগ সংক্রমিত হয়।
রোগের লক্ষণঃ
রোগ নির্নয় :
নিম্নলিখিতভাবে হাঁসের কলেরা রোগ নির্ণয় করা যায়।
চিকিৎসা
কলেরা রোগের জন্য এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে এ রোগের চিকিৎসা করা ।
১. ক্লুমেকুইন ১০% পাউডার ১ গ্রাম ২ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩-৫ দিন আক্রান্ত হাঁসকে পান করাতে হবে।
২. ক্লুমেকুইন ২০% সলুশন ১ মিমি/ ৪ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩-৫ দিন আক্রান্ত হাঁসকে পান করাতে হবে।
হাঁসের বটুলিজম রোগ
হাসের বটুলিজম রোগ একটি রোগ। এ রোগ অণুজীবাণু নানার যোগ সৃষ্টি করে না। এটি মৃত পঁচা গাছ, লতাপাতা কাদামাটিতে বাস করে এবং যেসব স্থানে রাখাল চলাচল করে না অথচ পঁচা জৈব পদার্থ সেখানে এ রোগ জীবাণু বংশবৃদ্ধি ও টক্সিন তৈরি করতে পারে। মৃতদেহে অ্যাশো পোকা, মাছির শুককীট প্রভৃতি এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। হাঁসে এ রোগ অনুজীবের যে টক্সিনটি রোগ সৃষ্টি করে তা মানুষের মাঝে রোগ সৃষ্টি করে থাকে।
রোগের কারণ : ক্রোস্টেডিয়াম বটুলিয়াম নামক রোগ অনুজীবের টক্সিন টাইপ সি এ রোগের জন্য দায়ী ।
খামারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে হাঁস পালন করা হলে এ রোগ হতে পারে না। হাঁস যেভাবে আক্রান্ত হতে পারে সেগুলো হচ্ছে:
হাঁসের বটুলিজম রোগের সংক্রমণ:
হাঁসের খাদ্য বা পানির সাথে এ টক্সিন দেহে প্রবেশ করে স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়। ফলে অবসাদজনিত উপসর্গ দেখা যায়। শ্বসনযন্ত্রের অবশতার জন্য আক্রান্ত হাঁস মারা যায়। কাদাযুক্ত পানিতে হাঁস ছাড়া হলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ রোগের টক্সিন দ্বারা আক্রান্ত হবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এমন কি কোনো প্রকার লক্ষণ প্রকাশ না করেই ঝাঁকের অনেক হাঁস মারা যেতে পারে ।
হাঁসের বটুলিজম রোগের লক্ষণ
ময়না তদন্তে প্রাপ্ত ফলাফলঃ
এ রোগে মৃত হাঁসের ময়না তদন্তে তেমন মারাত্মক কোনো ক্ষতচিহ্ন দেখা যায় না তবে যে সব অস্বাভাবিকতা দেখা যেতে পারে সুোলো হচ্ছে-
রোগ নির্ণয়ঃ
রোগ দমন
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
হাঁসের ভাইরাসজনিত রোগসমূহ
ডাক ভাইরাস হেপাটাইটিস
এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। হাঁসের বাচ্চার ক্ষেত্রে একটি তীব্র ছোঁয়াছে রোগ। একে যকৃত প্রদাহ রোগ বলা হয়ে থাকে । চার সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত বাচ্চার ক্ষেত্রে এ রোগ দেখা দেয় ৷
রোগের কারণ:
পিরোরনা নামক এক প্রকার ভাইরাস এ রোগের কারণ। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এ ভাইরাস ৭ থেকে ২৯ দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
রোগ ছড়ানোর মাধ্যম:
আক্রান্ত খামারের বা ঝাঁকের সব বাচ্চা আক্রান্ত হতে পারে। এ কারণে রোগের সুপ্তিকাল কয়েকঘন্টা মাত্র। যে সব মাধ্যমে বাচ্চা আক্রান্ত হতে পারে সেগুলো হচ্ছে :
রোগের লক্ষণঃ
চিকিৎসাঃ
রোগের প্রাথমিক অবস্থায় ডাক হেপাটাইটিস এন্টিসিরাম ০.৫ সি.সি. পরিমাণ প্রতি হাঁসের ছানার মাংসপেশিতে ইনজেকশন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
রোগ লক্ষণ:
ডাক প্লেগ
এ রোগ অত্যন্ত ছোঁয়াছে রোগ। এ রোগকে অন্ত্রের প্রদাহ রোগ বলা হয়ে থাকে। হাঁস, বাচ্চা হাঁস ও অন্যান্য বন্য হাঁস এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত বক্ষ হাঁস এ রোগে বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকে।
ডাক প্লেগ রোগের কারণ:
হারপেস গোত্রভুক্ত ডাক হারপেল ভাইরাস - ১, অ্যানাটিড হারপেস ভাইরাস -১, এ রোগের কারণ। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এ ভাইরাস সাধারণত ৩০ দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
রোগ ছড়ানোর মাধ্যমঃ
লক্ষণঃ
রোগ দমনঃ
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
হাঁসের ছত্রাক রোগ
আক্রান্ত অঙ্গের উপর ভিত্তি করে হাঁসের ছত্রাক রোগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা :
ক) আন্ত্রিক অঙ্গের সংক্রমণ, যথা- ব্রুডার নিউমোনিয়া
খ) চর্ম অঙ্গের সংক্রমণ - ফেভাস
গ) পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ- ক্যানডিডিয়াস
অ্যাসপারজিলোসিস বা ব্রুডার নিউমোনিয়া
এটি একটি ছত্রাকজনিত রোগ। এ রোগকে ব্রুডার নিউমোনিয়াও বলা হয়ে থাকে। ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে এ রোগ বেশি হয়ে থাকে। আন্ত্রিক অঙ্গের সংক্রমণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অ্যাসপারজিলোসিস রোগ। ব্রুডার নিউমোনিয়া বলতে ফুসফুস ও বাতাসের থলে সংক্রমণকে বুঝায়। এ রোগ সাধারণত শ্বাসতন্ত্রকে আক্রান্ত করে, তবে মাঝে মাঝে যকৃত, চোখ, মস্তিষ্ক এমন কি অন্যান্য অঙ্গকেও আক্রান্ত করতে পারে।
যে সব প্রাণী এ রোগ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে যেগুলো হচ্ছে হাঁস, মুরগি, টার্কি ও অন্যান্য পোষা পাখি। মানুষের মাঝেও এ রোগ ছাড়াতে পারে। অল্প বয়স্ক হাঁস, মুরগি এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। বাড়ন্ত বা বয়স্ক হাঁস মুরগি আক্রান্ত হতে পারে তবে এদের মৃত্যুর হার কম । যেসব ছত্রাক এ রোগের জন্য দায়ি সেগুলো হচ্ছে:
রোগের কারণ:
অ্যাসপারজিলাস ফিউমিগেটাস নামক ছত্রাক হাঁসের ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে এ রোগের কারণ ।
যে সব অবস্থা এ রোগ সৃষ্টি করে বা সুযোগ করে দেয় সেগুলো হচ্ছে :
অ্যাসপারজিলোসিস রোগের সংক্রমণঃ
অ্যাসপারজিলোসিস বা ব্রুডার নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণসমূহ:
এ রোগে সাধারণত অল্প বয়স্ক হাঁসের বাচ্চা আক্রান্ত হয়ে থাকে। ডিম ফোটানোর যন্ত্র থেকে যদি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তা হলে ২-৩ দিন বয়সে এবং ব্রুডার থেকে আক্রান্ত হলে ৫-৬ দিন বয়সে এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় । আক্রান্ত ঝাঁকের শতকরা ৫০ ভাগ বাচ্চা মারা যেতে পারে।
বয়স্ক হাঁস আক্রান্ত হলে শ্বাসকষ্টে ভোগে। মনে হয় গলায় কিছু আটকে গিয়েছে। দ্রুত স্বাস্থ্যহানি ঘটে। হাঁটতে গেলে দুর্বল মনে হয় এবং পড়ে যায়। পাতলা পায়খানা হতে পারে। শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যায় ।
এ রোগের কারণে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার হার কমে যায়। ভ্রুণ অবস্থায় অত্যধিক মারা যায়। এ সব ডিমের ভেতরের বাতাসের থলেতে সবুজ বর্ণের ছত্রাকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় ৷
চোখ আক্রান্ত হলে যে সব লক্ষণ প্রকাশ পায় সেগুলো হচ্ছেঃ
চামড়া আক্রান্ত হলে-
মরা চামড়া বা খুসকিযুক্ত হলুদ বর্ণের ক্ষত দেখা যায় ।
মস্তিষ্ক আক্রান্ত হলে-
সঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না। স্নায়ুবিক লক্ষণাদি প্রকাশ পেয়ে অবশ হয়ে যেতে পারে ।
এ সব ছত্রাক যে সব টক্সিন তৈরি করে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে-
ময়না তদন্তের ক্ষত চিহ্ন
রোগ নির্ণয়ঃ
রোগ দমনঃ
চিকিৎসা:
হাঁসের মাইকোপ্লাজমোসিস রোগ
মাইকোপ্লাজমা এনাটিস নামক এক প্রকার মাইকোপ্লাজমা হাঁসে এ রোগ সৃষ্টি করে থাকে। আক্রান্ত হাঁসে এ রোগজীবাণু কয়েক সপ্তাহ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারে। হাঁসের দেহের বাইরে, খামার পরিবেশে এ রোগজীবাণু মাত্র কয়েক দিন বাঁচতে পারে। পেনিসিলিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিকস এ রোগজীবাণু ধ্বংস করতে পারে না। আক্রান্ত হাঁসের বিষ্ঠায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ রোগজীবাণু তিনদিন এবং ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১৮ সপ্তাহ এবং ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
মাইকোপ্লাজমোসিস রোগের বিস্তার:
যেসব অবস্থা বা পরিবেশে রোগজীবাণুর ক্ষতিকর ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় সেগুলো হচ্ছে-
রোগের লক্ষণ:
এ রোগে মৃত হাঁসের ময়না তদন্তের ক্ষতচিহ্ন:
রোগ নির্ণয় :
চিকিৎসা
রোগ দমন:
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
অপুষ্টিজনিত রোগ :
খাদ্যের যে কোনো এক বা একাধিক খাদ্য উপাদানের ঘাটতির কারণে হাঁসের বৃদ্ধি ও উৎপাদন ব্যাহত হয়, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। হাঁসের ভিটামিন সমূহের অভাবজনিত রোগ, চিকিৎসা ও প্রতিকারের বর্ণনা দেওয়া হলোঃ
ক) ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ :
ভিটামিন- এ
কতদিন পর্যন্ত হাঁসগুলো এই ভিটামিনের অভাবে ভুগছে তার উপর ভিত্তি করে ভিটামিন-‘এ' এর অভাবে সৃষ্ট লক্ষণ প্রকাশ পায়। বয়স্ক হাঁসে লক্ষণ দেখা দিতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। কিন্তু বাচ্চা হাঁসে ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়। ভিটামিন-'এ' এর অভাবজনিত লক্ষণগুলো অবস্থা ও বয়সভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
অভাবজনিত লক্ষণ :
অভাব নিরূপণ :
প্রতিকার ও চিকিৎসা :
খাদ্যে এন্টি অক্সিডেন্ট ব্যবহার করা প্রয়োজন। শাকসবজি, ভুট্টা, গম, ছোট মাছ, ফলমূল, ফলমূলের খোসা, হাঙ্গর মাছের তৈল খাওয়ালে ভিটামিন-এ এর অভাব দরূ হয়। লক্ষণ দেখা দিলে প্রতিদিন বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন এ.ডি.ই. দ্রবণ প্রস্তুতকারকের নির্দেশমত খাদ্য বা পানির সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ সরবরাহ করতে হবে।
ভিটামিন ডি
শরীরের হাড় এবং ডিমের খোসার গঠনের জন্য অর্থাৎ ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস এর কার্যকারিতার জন্য এই ভিটামিন অত্যন্ত জরুরি। সালফার জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করলে বা খাবার দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করলে ভিটামিন- ডি নষ্ট হয়ে যায় ফলে হাঁস খাবার হতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভিটামিন-ডি পায় না।
অভাবজনিত লক্ষণ :
রোগ নিরূপণ :
সতর্কতা : অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন-ডি খাদ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োগ করলে হাঁসের কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা :
ভিটামিন ই
ভিটামিন -ই এর অভাবে হাঁসের এনসেফালোমেলাসিয়া, মাসকুলার ডিসট্রোফি, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি রোগ হতে পারে। খাদ্যে অপর্যাপ্ত সেলিনিয়ামের উপস্থিতি, বিভিন্ন উপকরণের সঠিক অনুপাতে মিশ্রণ না করা, তৈল জাতীয় খাদ্যের অক্সিডেশন ইত্যাদির কারণে ভিটামিন-ই এর অভাব হতে পারে।
অভাবজনিত লক্ষণ :
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা :
ভিটামিন 'কে' (এন্টিহিমোরেজিক ভিটামিন)
এই ভিটামিনটি শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত। এর অভাব হলে ঠোঁট কাটার সময় বা সামান্য আঘাতে অধিক রক্তক্ষরণ হতে পারে। আবার আমাশয় আক্রান্ত হলে পায়খানায় প্রচুর রক্ত দেখা যায়। খাদ্য ও পানিতে যদি সালফার জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করা হয় তবে এই ভিটামিনটির মেটাবলিজমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করলে অন্ত্রের মধ্যে ভিটামিন-কে উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়াসমূহ মরে যায়, ফলে দীর্ঘদিন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হলে এ ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ সৃষ্টি হতে পারে। খাদ্যদ্রব্য অনেক দিন সংরক্ষণ করলেও খাদ্যে উপস্থিত এ ভিটামিনটি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায় ।
অভাবজনিত লক্ষণ :
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা :
ভিটামিন ‘বি -১' (থায়ামিন)
পানিতে দ্রবণীয় এ ভিটামিনটির অভাবে খুব তাড়াতাড়ি রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। খাদ্যে অধিক পরিমাণে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভিটামিন বি-১ বিদ্যমান না থাকলে এর অভাবজনিত লক্ষণ দেখা যায় ।
অভাবজনিত লক্ষণ :
রোগ নির্ণয় :
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা :
ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লাভিন)
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এবং খাবার পানির পিএইচ (অম্লত্ব) ভিটামিন বি-২ কে নষ্ট করে ফেলতে পারে। তাই খাদ্যে এর অভাব দেখা দিতে পারে।
অভাবজনিত লক্ষণ :
বাচ্চা অবস্থায় প্রথম কয়েক সপ্তাহে ভিটামিনটির অভাব হলে হাঁসের মধ্যে-
রোগ নিরূপণ :
রোগের লক্ষণ দেখে ভিটামিন বি-২ সরবরাহ করলে যদি লক্ষণগুলো দ্রুত চলে যায় তবে বুঝতে হবে হাঁসগুলো এ ভিটামিনের অভাবে ভুগছিল ।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:
ভিটামিন বি-৬ (পাইরিডক্সিন)
খাবারের মধ্যে অধিক পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় পদার্থ থাকলে এবং সে অনুযায়ী ভিটামিন বি-৬ এর স্বল্পতা থাকলে সাধারণত এ ভিটামিনটির অভাবজনিত সমস্যা দেখা যায় । কারণ এটি প্রোটিনের বিপাকে সাহায্য করে ।
অভাবজনিত লক্ষণ :
রোগ নির্ণয় :
খাদ্যে ভিটামিনের পরিমাণ নির্ণয় করে ও রোগের লক্ষণ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণার ভিত্তিতে ভিটামিন বি-৬ সরবরাহ করলে যদি ভালো ফল পাওয়া যায় তবে বুঝতে হবে ঐ ঝাঁকের হাঁসগুলো ভিটামিন বি-৬ এর অভাবে ভুগছিল।
প্রতিকার ও চিকিৎসা :
বায়োটিন
অধিক পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ালে পরিপাকতন্ত্রের মধ্যে বায়োটিন সৃষ্টিকারী জীবাণু মরে গিয়ে কিংবা খাদ্যের মধ্যে বায়োটিনের পরিমাণ কম হলে অথবা খাদ্যে বায়োটিন নষ্টকারী কোনো পদার্থের উপস্থিতি থাকলে হাঁসে এটার অভাবজনিত বিভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি হতে পারে। বাচ্চা হাঁসের শরীরের অসাড়তার হাত থেকে রক্ষার জন্য এ ভিটামিনটির বিশেষ প্ৰয়োজন ৷
অভাবজনিত লক্ষণ :
রোগ নির্ণয় :
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা :
কলিন :
হাঁসের শরীরে বিভিন্ন শরীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপে কলিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শারীরিক অসাড়তা দূর ও শরীরের বৃদ্ধির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি দেহের বিভিন্ন টিস্যু বা কলার গঠনে এবং স্নায়ুতন্ত্র সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাঁসের খাদ্যে যথেষ্ট পরিমাণে কলিন সরবরাহ করা বাঞ্ছনীয় ।
অভাবজনিত লক্ষণ :
রোগ নির্ণয় :
লক্ষণ দেখে এবং পোস্টমর্টেমের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। এছাড়াও খাদ্যস্থিত কলিন বৃদ্ধি করে যদি ফল পাওয়া যায় তবে ধরতে হবে কলিনের অভাব ছিল।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসাঃ
খাবারের তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণ সয়াবিন মিল, গম ভাঙা, ফিস মিল ইত্যাদি থাকায় হাঁসে কলিনের অভাব সাধারণত হয় না। কারণ সয়াবিন মিল ও ফিসমিলে প্রচুর পরিমাণে কলিন থাকে। আবার গম ভাঙার মধ্যে বিটেইন নামক এক প্রকার পদার্থ থাকে যা কলিনের মতো মিথাইল দানকারী হিসেবে কাজ করে কলিনের অভাব পূরণ করে। কিন্তু বাস্তবতা এই যে, প্রায়ই দেখা যায় হাঁসে কলিনের অভাব হয়। তাই বাজারে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যে কলিন বা কলিন ক্লোরাইড পাওয়া যায়, তা প্রয়োজন মত খাবারে মিশিয়ে দিতে হবে। তবেই কলিনের অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ সম্ভব ।
বাজারে প্রাপ্ত কলিন প্রায় সময়ই কলিন ক্লোরাইড নামে বিভিন্ন শতাংশের (%) কোলিন ক্লোরাইড হিসেবে পাওয়া যায়। যেমন : ক্লোরাইড ৫০% বা কলিন ক্লোরাইড ৪০% ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে, কোলিন ক্লোরাইডের মধ্যে প্রকৃত কলিনের পরিমাণ ৮৬.৭৯%। তাই উক্ত কলিন ক্লোরাইড খাবারে মিশানোর সময় প্রকৃত কলিনের পরিমাণ যথাযথভাবে নির্ণয় করে প্রয়োজন অনুযায়ী কলিন ক্লোরাইড মিশাতে হবে।
ভিটামিন বি-১২ (সায়ানো-কোবালামিন)
শরীরের কোষের নিউক্লিক এসিড তৈরিতে, শর্করা ও চর্বির বিপাকীয় প্রকিয়ায় ভিটামিন বি-১২ সাহায্য করে। তন্ত্রের বিভিন্ন জীবাণু এই ভিটামিনটি তৈরি করে বিধায় এই ভিটামিনটির অভাবজনিত রোগ খুব কম দেখা দেয় এবং খাদ্যে এর প্রয়োজন অত্যন্ত নগণ্য। পাখির বিষ্ঠার সাথে যে জীবাণু বের হয় এবং লিটারে পড়ে সেগুলোও এই ভিটামিনটি তৈরি করতে পারে। ফলে লিটারে পালিত মোরগ-মুরগির এই ভিটামিনের অভাব হওয়ার সম্ভাবনা আরও কম। যদি হাঁসকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত অত্যধিক পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয়, তবে এই ভিটামিনের অভাবজনিত রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে ।
অভাবজনিত লক্ষণ :
রোগ নির্ণয় :
অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের ইতিহাস, লক্ষণ ইত্যাদি দেখে ভিটামিন বি-১২ দিয়ে চিকিৎসা দিলে যদি ভালো ফল পাওয়া যায়, তবে বুঝতে হবে হাঁসে ভিটামিন বি-১২ এর অভাব ছিল ।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা :
ভিটামিন সি
স্ট্রেস বা পীড়ন প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর উপাদান হিসেবে ভিটামিন-সি ব্যবহার হয়ে থাকে। হাঁসে ভিটামিন সি যথেষ্ট পরিমাণে নিজেরাই উৎপাদন করতে পারে। দৈহিক বৃদ্ধি, বীর্য উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন রকম বিষক্রিয়া বিশেষত কিছু খনিজ লবণের বিষক্রিয়ার হাত থেকে হাঁসকে রক্ষা করার ক্ষমতা ভিটামিন-সি এর রয়েছে। খাদ্যে ভিটামিন-সি এর অভাব থাকলে বা হাঁস অত্যধিক গরম আবহাওয়ায় থাকলে বা পীড়ণ (স্ট্রেস) সৃষ্টি হলে হাঁসের ভিটামিন-সি এর অভাব দেখা দিতে পারে ।
অভাবজনিত লক্ষণ :
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা :
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
খ) খনিজ পদার্থের অভাবজনিত রোগ (ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস)
খনিজ পদার্থের কাজ
* হাঁসের দৈহিক বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য রক্ষা ও প্রজননের জন্য খনিজ পদার্থ অত্যাবশ্যক ।
* হাঁসের দেহের অস্থি গঠন, ডিমের খোসা তৈরীতে খনিজ পদার্থ অত্যাবশ্যক ।
* দেহের অম্লত্ব-ক্ষারত্ব সমতা রক্ষা করে ।
* খনিজ শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাদ্যে বিপাকে সাহায্যে করে।
অভাবজনিত লক্ষণ :
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা :
সোডিয়াম
সোডিয়ামের কাজঃ
অভাবজনিত লক্ষণ :
প্রতিকার ও চিকিৎসা : খাদ্যে সাধারণ লবণ সরবরাহ করে এর অভাব দূর করা যায়।
জিংক
জিংকের কাজঃ
অভাবজনিত লক্ষণ :
প্রতিকার ও চিকিৎসা : হাঁসের খাদ্যে জিংকের বা জিংক সমৃদ্ধ উপকরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে ।
সেলেনিয়াম
সেলেনিয়ামের কাজঃ
সেলেনিয়াম হচ্ছে গুটাথায়োন পারোক্সিডেজ ( Glutathion Peroxidase) নামক এনজাইমের অংশ যা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে।
অভাবজনিত লক্ষণ :
প্রতিকার ও চিকিৎসা : ছোলা জাতীয় খাদ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে বা খাদ্যে সেলেনিয়াম যুক্ত করলে এর অভাব দূর হয় ।
লৌহ ও কপার
অভাবজনিত লক্ষণ :
প্রতিকার ও চিকিৎসা : শাকসবজি, ঘাস, মাছের গুঁড়া ইত্যাদি খাওয়াতে হবে। খাদ্যে ফেরাস সালফেট ও কপার সালফেট সংযোজন করতে হবে।
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
টিকাবীজ হচ্ছে রোগের প্রতিরোধক যা রোগের জীবাণু বা জীবাণুর অ্যান্টিজেনিক উপকরণ দ্বারা তৈরী করা হয়। হাঁসের দেহের ভেতর রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য টিকাবীজ প্রয়োগ করতে হয়। টিকাবীজ প্রয়োগের ফলে দেহের ভেতর রক্ত বা রক্তরসে এক প্রকার ইমিউনোগ্লোবিউলিন নামক আমিষ পদার্থ তৈরী হয়। যাকে এন্টিবডি বলা হয়। এন্টিবডিই হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ পদার্থ। এজন্য কৃত্রিম উপায়ে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট সময়ের ব্যাবধানে টিকা প্রদানের যে সিডিউল তৈরী করা হয় তাই টিকাদান কর্মসূচী।
বি. দ্র. প্রতিষেধক টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানির নির্দেশ মোতাবেক প্রয়োগ করা উচিত ।
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
খামারকে রোগমুক্ত রাখতে ও কাশিত উৎপাদন পেতে হলে বারোসিকিউরিটির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বারোসিকিউরিটি বজার রাখার কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হলো-
অনুসন্ধানমূলক কাজ
তোমার প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি যে কোন একটি হাঁসের খামার পরিদর্শন কর। খামারে হাঁসের যে সমস্ত রোগ | পরিলক্ষিত হলো তার লক্ষণসহ একটি তালিকা প্রস্তুত কর।
পারদর্শিতার মানদণ্ড:
১) ডাক প্লেগ রোগের টিকা সনাক্ত করা
২) সঠিক পদ্ধতিতে টিকাবীজ পাতিত পানির সঙ্গে মিশ্রিত করা
৩) ডাক প্লেগ রোগের টিকা প্রদান করা
৪) টিকা প্রদান করে খামার রোগমুক্ত করা
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই)
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি
(গ) প্রয়োজনীয় কাঁচামাল (Raw materials)
কাজের ধারাঃ
১. টিকা প্রদানের যন্ত্রপাতি জীবাণুযুক্ত করে নাও ।
২. বিশ্ব উৎস হতে টিকাবীজ সংগ্রহ কর এক্ষেত্রে ওয়ার্কশপের রেফ্রিজারেটরে রক্ষিত টিকাবীজ সংগ্রহ কর।
৩. সূচী মোতাবেক সুস্থ হাঁসের শেডে যাও।
৪. টিকা প্রদানের সময় হলে দিনের ঠান্ডা অংশে (সকাল বা সন্ধ্যা) হায়াযুক্ত স্থানে টিকাবীজ প্রস্তুতকারীর নির্দেশ মোতাবেক ডায়লুরেন্ট বা পাতিত পানির (এক্ষেত্রে তায়ালের টিকা বীজ ১০০ সিসি পানির সাথে মিশাও) সাথে মিশ্রিত কর।
ক)ভায়ালটি (ধূসর বর্ণের ট্যাবলেট আকারে ১০০ মাত্রার টিকা বীজ) সংগ্রহ কর।
খ) ভাষালে রক্ষিত টিকাবীদ্ধ ১০০ সিসি পাতিত পানিতে মিশ্রিত কর।
গ) ১ সিসি করে বুকের মাংসে পুশ কর।
খ) ১মাস বয়সে প্রথমবার এবং প্রতি ৬ মাস অন্তর পরবর্তী ডোজ প্রদান কর।
৫. এরপর হাঁসকে সঠিকভাবে ধরে আয়ত্তে আন, নিম্নলিখিত ভাবে টিকা প্রদান কর।
৬. টিকাদানকৃত হাঁসকে পৃথক করে রাখ ।
৭. গরমকালে ১ঘন্টা ও শীতকালে ২ঘন্টার মধ্যে টিকাদান কার্যক্রম শেষ কর।
৮. অবশিষ্ট টিকা ও ভায়াল মাটিতে পুতে ফেল ।
৯. পুনঃ ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করে সংরক্ষণ কর ।
বিঃ দ্রঃ বাজারে বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃক বাজারজাতকৃত টিকাবীজ তাদের সরবরাহকৃত ডায়লুয়েন্টের সাথে মিশিয়ে কোম্পানির নির্দেশ মোতাবেক প্রয়োগ করতে হয়।
সতর্কতাঃ
১) অসুস্থ হাঁসকে টিকা দেয়া যাবে না ।
২) টিকা প্রদান ও মিশ্রণের সময় অবশ্যই নির্ধারিত মাত্রা মেনে চলতে হবে।
৩) অবশিষ্ট টিকা ও ভায়াল মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
পারদর্শিতার মানদণ্ড
১) ডাক কলেরা রোগের টিকা সনাক্ত করা
২)সঠিক পদ্ধতিতে টিকাবীজ পাতিত পানির সঙ্গে মিশ্রিত করা
৩) ডাক কলেরা রোগের টিকা প্রদান করা
৪) টিকা প্রদান করে খামার রোগমুক্ত করা
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই)
খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি
(গ) প্রয়োজনীয় কাঁচামাল (Raw materials)
কাজের ধারাঃ
১. টিকা প্রদানের যন্ত্রপাতি জীবাণুযুক্ত কৰা ।
২. বিশ্ব উৎস হতে টিকাবীজ সংগ্রহ কর, এক্ষেত্রে আর্কশপের রেফিজারেটরে রক্ষিত টিকাবীজ সংগ্রহ কর।
৩. সূচী মোতাবেক সুস্থ হাঁসের শেডে যাও।
৪. টিকা প্রদানের সময় বলে দিনের ঠাণ্ডা অংশে (সকাল বা সন্ধ্যা) ছায়াযুক্ত স্থানে টিকাবীজ প্রস্তুতকারি নির্দেশ মোতাবেক ডায়লুয়েন্ট বা পাতিত পানির (এক্ষেত্রে তায়ালের টিকাবীজ ১০০ সিসি পানির সাথে মিশ্রিত কর।
ক) টিকাবীজ (কাঁচের বোতলে গুলানো অবস্থায় ১০০ মাত্রার টিকারীজ) সংগ্রহ কর।
খ)এ ভ্যাকসিন সিরিঞ্জের সাহায্যে ১ সি সি করে চামড়ার নীচে ইনজেকশন আকারে প্রয়োগ কর ।
গ) ৪৫-৬০ দিন বয়সে প্রথমবার তারপর প্রতি ৬ মাস পর পর টিকা প্রয়োগ কর ।
৫. এরপর হাঁসকে সঠিক ভাবে ধরে আয়ত্বে আন এবং নিম্নলিখিতভাবে টিকা প্রদান কর।
৬. টিকাদানকৃত হাঁসকে পৃথক করে রাখ ।
৭. গরমকালে ১ঘন্টা ও শীতকালে ২ঘন্টার মধ্যে টিকাদান কার্যক্রম শেষ কর।
৮. অবশিষ্ট টিকা ও ভায়াল মাটিতে পুঁতে ফেল ।
৯. পুনঃ ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করে সংরক্ষণ কর।
বিঃ দ্রঃ বাজারে বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃক বাজারজাতকৃত টিকাবীজ তাদের সরবরাহকৃত ডায়লুয়েন্টের সাথে মিশিয়ে কোম্পানির নির্দেশ মোতাবেক প্রয়োগ করতে হয়।
সতর্কতাঃ
১) অসুস্থ হাঁসকে টিকা দেয়া যাবে না ।
২) টিকা প্রদান ও মিশ্রণের সময় অবশ্যই নির্ধারিত মাত্রা মেনে চলতে হবে।
৩) অবশিষ্ট টিকা ও ভায়াল মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
১. রোগ কাকে বলে?
২. সংক্রামক রোগ কাকে বলে?
৩. হাঁসের ব্যাকটেরিয়াজনিত দু'টি রোগের নাম লেখ ।
৪. হাঁসের ভাইরাসজনিত রোগের নাম লেখ ।
৫. ডাক কলেরা রোগের জীবাণুর নাম লেখ ।
১. একটি সুস্থ হাঁসের বৈশিষ্ট্য লেখ।
২. হাঁসকে রোগমুক্ত রাখার উপায়গুলো লেখ।
৩. ডাক প্লেগ রোগের লক্ষণসমূহ লেখ।
৪. ওম্ফালাইটিস রোগের লক্ষণসমূহ লেখ।
৫. ভিটামিন- এ এর অভাবজনিত লক্ষণ লেখ ৷
১. ডাক প্লেগ রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার লেখ ।
২. ডাক কলেরা রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা লেখ ।
৩. টিকা ব্যবহারের সাধারণ নিয়মাবলি লেখ ।
৪. টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ লেখ।
৫. ডাক প্লেগ ও ডাক কলেরা রোগের টিকা প্রদানের পদ্ধতি বর্ণনা কর।
আরও দেখুন...